নাইক্ষ্যংছড়ি-চাকঢালা সড়কের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

মোহাম্মদ ইউনুছ : নাইক্ষ্যংছড়ি-চাকঢালা সড়কের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্ন মানের ইটের গুড়া ও পাতলা ভিটুমিনযুক্ত পিচ ঢালাইয়ের কারণে অল্প দিনের মধ্যেই সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কে বড় বড় গর্ত হয়ে ভয়ংকর মরন ফাঁদে পরিনত হচ্ছে। সংস্কার কাজ চলাকালীন সময়ে কাজের মান নিয়ে ব্যবসায়ী, টমটম চালক, রিকসা চালক, পথচারী সহ অনেকেই অভিযোগ করেও কাজ বন্ধ করেনি ঠিকাদার। এমনকি ৪ মে’২০২০ইং বৃষ্টি চলাকালীন সময়েও ঠিকাদারের দোহাই দিয়ে কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন শ্রমিকরা। থানার মোড় থেকে শুরু হওয়া এই রাস্তাটি খানাখন্দে ভরপুর। যার কারণে জন গুরুত্বপূর্ণ নাইক্ষ্যংছড়ি-চাকঢালা সড়কটিতে বাই সাইকেল, মোটর সাইকেল, অটো রিকসা, টম টম, সিএনজি চালকদের জন্য যে কোন সময় অপেক্ষা করছে বড় কোন দুর্ঘটনা। এ ছাড়া সুস্থ যাত্রীরাও এ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রচন্ড ঝাকুনি খেতে খেতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। একটু বৃষ্টিই যেন এই সড়কে যাতায়তকারী মানুষের জন্য আশির্বাদের বদলে অভিশাপ। বর্তমানে রাস্তাটি দিয়ে যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। যেটি দেখলে মনে হয় এ যেন এক পরিত্যাক্ত অভিভাবকহীন সড়ক যা দেখার কেউ নেই । অথচ এই সড়কটি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের প্রান কেন্দ্রে। যেখানে রয়েছে সরকারি কলেজ, আলিম মাদরাসা, হাই স্কুল, প্রাইমারি স্কুল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের বিভিন্ন দুর-দুরান্ত থেকে আসা এসব প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থী সহ নিত্যদিন হাজার হাজার মানুষ সীমাহীন ভোগান্তি স্বীকার করে জীবনের ঝুকি নিয়েই চলতে বাধ্য হচ্ছে এ সড়ক দিয়ে। এ বিষয়ে জনতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, এ রাস্তাটা নিয়ে অনেকবার কর্তৃপক্ষের কাছে যোগাযোগ করেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে-না। জানা যায়, বান্দরবান সড়ক ও জনপদ বিভাগের নাইক্ষ্যংছড়ি-চাকঢালা সড়কের ২০ লক্ষ টাকার এ কাজটি পায় ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্স নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যাহার তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন সাইফুদ্দিন হারুন। রাস্তাটি রক্ষা ও সংস্কারের জন্য মাননীয় পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।