মোহাম্মদ ইউনুছ: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সংযোগ সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক এলাকা পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি এই এলাকায় একটি সম্ভাব্য স্থলবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে আসেন এবং এ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১১টায় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান: সীমান্ত সড়ক ও স্থলবন্দরের জন্য প্রস্তাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। সরকার গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি বিবেচনা করছে। ভবিষ্যতে এখানে একটি স্থলবন্দর নির্মাণ করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তা ভবিষ্যতেও থাকবে। সীমান্ত সড়ক সংলগ্ন একটি স্থলবন্দর কীভাবে করা যায়, তা পরিকল্পনার আওতায় আনা হচ্ছে।”
নৌপরিবহন উপদেষ্টা আরও বলেন,“মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে নৌপথের চেয়ে স্থলপথই বেশি সুবিধাজনক। এশিয়ান ট্রান্সরোড ঘুমধুম হয়ে দুই দেশের জন্য সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারে। টেকনাফে আমাদের একটি বন্দর রয়েছে, তবে সেটি প্রকৃতপক্ষে স্থলবন্দর নয়। ভবিষ্যতে এটি নৌবন্দর বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংযোগের অংশ হতে পারে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার কারণে কিছু আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাণিজ্যিক কার্যক্রমও পুনরায় গতিশীল হবে।”
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন—
- বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মানজারুল মান্নান
- কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল্লাহ ইয়ামিন
- ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফারুক হোসেন খান
- অন্যান্য প্রশাসনিক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা
এর আগে, দুই দফায় উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা এই সীমান্ত সড়কে স্থলবন্দর নির্মাণের ঘোষণা দেন। এ কারণেই এশিয়ান হাইওয়ে প্রকল্পের আওতায় ১০০ ফুট প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ করা হয়।
এই সড়ক লালব্রিজ হয়ে মিয়ানমারের তুমব্রু, লেপ্ট, ঢেকুবুনিয়া হয়ে রাখাইনের মন্ডু জেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত। এরপর এটি আকিয়াব-ইয়াঙ্গুন হয়ে চীনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনার অংশ।
এই স্থলবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম আরও সহজতর হবে এবং আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি পাবে। সরকার ইতোমধ্যে সীমান্ত সড়কের উন্নয়ন এবং স্থলবন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে, যা ভবিষ্যতে দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।
আপনার মতামত লিখুন :