দূর্গম প্রার্বত্য অঞ্চলে বিকাশ ওয়ালেটের মাধ্যমে ১৩৩ জন সদস্যকে সঞ্চয় ফেরত দিয়েছে ব্র্যাক

প্রতিনিধি : ব্র্যাক রাঙ্গামাটি অঞ্চলের রাঙ্গামটি জেলা ও খাগড়াছড়ি জেলার তাদের ১৩৩ জন সদস্যকে অফিস বন্ধ থাকা অবস্থায় ও বিকাশ ওয়ালেটের মাধ্যমে ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা সঞ্চয় ফেরত দিচ্ছে। ব্র্যাক সূত্র জানায়, গত ১ জুলাই ২০২১ হইতে রাঙ্গামাটি জেলা ও খাগড়াছড়ি জেলায় সরকারের দেওয়া বিধি নিষেধ অনুযায়ী সকল জেলা ও উপজেলা ব্যাপী সর্বাত্বক লকডাউন শুরু হয় এবং সকল সরকারী ও বেসরকারী অফিস বন্ধ আছে। এনজিও সদস্যদের ঋণ বিতরণ ও সঞ্চয় ফেরত প্রদান বন্ধ আছে। ১লা জুলাই থেকে কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গ্রামীন অর্থনীতিতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে কিছু সদস্য চিকিৎসা ও কৃষি কাজের জন্য তাদের পাশবইয়ে থাকা সঞ্চয় উত্তোলন করে এসব সমস্যা সমাধান করে থাকে। কিন্তু এই মহামারীর সময় তাদের এই সমস্যা থেকে উত্তোরণ হওয়ার কোন উপায় খুজেঁ পাচ্ছেনা। প্রায়ই তারা ব্র্যাক অফিসে ফোন করে তাদের নিজস্ব সঞ্চয় ফেরত চাচ্ছেন। ব্র্যাক বিশে^র এক নম্বর এনজিও হিসেবে সবসময় সদস্যদের এসব দিক চিন্তা করে থাকে,বিশেষ করে দূর্যোগের সময় তাদের পাশে কিভাবে থাকা যায়। এমতাবস্তায় কোন এনজিও সংস্থা বন্ধের মধ্যে গ্রাহকের সঞ্চয় ফেরত না দিলেও ব্র্যাকের রাঙ্গামাটি অঞ্চলের আওতাধীন রাঙ্গামাটি জেলা ও খাগড়াছড়ি জেলার ২১টি শাখায় প্রাথমিক চাহিদা অনুযায়ী ৩০ জনকে ২,০০০/- টাকা করে মোট ৬০,০০০/-টাকা, ৬২ জনকে ৫,০০০/- টাকা করে মোট ৩,১০,০০০/- টাকা এবং ৪১ জনকে ১০,০০০/- টাকা করে ৪,১০,০০০/- টাকাসহ সর্বমোট ১৩৩ জনের ৭,৮০,০০০/- টাকা বিকাশের মাধ্যমে ব্র্যকের প্রধান কার্যালয় হইতে ফেরত দেওয়া হয়েছে। সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা হলে,তারা তাদের বিকাশ ওয়ালেটের মাধ্যমে সঞ্চযের এই টাকা পেয়েছেন বলে জানায়। এ ব্যাপারে ব্র্যাকের রাঙ্গামাটি অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (মাইক্রোফাইন্যান্স) অমিয় দর্শী চাকমার সাথে কথা বললে তিনি জানান, ব্র্যাক করোনা কালীন মহামারী সময়ে সদস্যদের পাশে আছে এবং সবসময় পাশে থাকবে। এই লকডাউন যদি আরো দীর্ঘ হয় তাহলেও বিকাশের মাধ্যমে সদস্যদের জরুরী চাহিদার কথা বিবেচনা করে সঞ্চয় ফেরতের এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে।