সাধারণ

দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করেছিলেন এস কে সিনহা !

 

সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের চরম ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে। সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তি স্বার্থ উদ্ধারে চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও মুনাফাখোরদের পক্ষে রায় দিয়ে রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছেন এস কে সিনহা।
১/১১ সময়কাল বিভিন্ন ব্যক্তি কোম্পানী কর্তৃক সরকারী কোষাগারে জমাকৃত অর্থ ফেরত মামলার রায় প্রদানকালে মাননীয় প্রধান বিচারপতি কর্তৃক ৬০কোটি টাকা উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। তত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে ১২৩১,৯৫,৬৪,৯২৫.১৬ (এক হাজার দুইশত একত্রিশ কোটি পচানব্বই লক্ষ চৌষট্টি হাজার নয়শত পচিশ) টাকা গ্রহণ করে সরকারী কোষাগারে জমা করা হয়।পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক হাইকোর্টে পৃথক পৃথক রীট আবেদন করে। রীটের রায়ে সরকারের আদায় করা অর্থের কিছু অংশ অর্থাৎ ৬১৫ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার আদেশ প্রদান করা হয়। হাইকোর্টের উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক আপীল বিভাগে আপীল দায়ের করে। আপীলটি ২০১৭ সালের ০৮, ১৪, এবং ১৫ মার্চ মাত্র তিনটি শুনানী শেষে ১৬ মার্চ ২০১৭ তারিখে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা রায় ঘোষণা করেন। রায়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয় অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যে সরকারকে জমাকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার আদেশ প্রদান করা হয়। জানা যায়, উক্ত মামলার রায় ব্যক্তিবর্গের পক্ষে নেয়ার জন্য প্রধান বিচারপতির সাথে একটি সমঝোতা হয়। এর মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপ কর্তৃক সবার নিকট ফান্ড সংগ্রহ করে প্রাথমিক ভাবে ১২০০ কোটি টাকার ৫% অর্থাৎ প্রায় ৬০ কোটি টাকা প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে প্রদান করা হয়েছে বলে জানা যায়। সিংগাপুরে অবস্থাানরত এস কে সিনহার সহচর রণজিৎ এ অর্থ গ্রহণ করে বলে অভিযোগ আছে।

সূত্রের খবরে জানা যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এস কে সিনহা সরকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে নিজের একাউন্ট ভর্তি করেছেন। সেই টাকা বিদেশে পাচার করে বাড়ি কিনেছেন এবং ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। এক সাবেক বিচারপতির এমন রাষ্ট্র বিরোধী কাজের জন্য হতবাক ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন দেশবাসী। রাষ্ট্রের এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে, রাষ্ট্রের সর্বো”চ সুযোগ সুবিধা ভোগ করেও যারা এসব করেন তারা আদতে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী নন।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button