দীর্ঘ ২৪ বছরেও বিচার হয়নি ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যার-সন্ত্রাসীরা অবাধে বিচারণ করছে পাহাড়ে

লংগদু প্রতিনিধিঃ
আজ ৯ সেপ্টেম্বর পার্বত্য এলাকার বাঙালিদের কাছে এই দিনটি কালো দিন হিসেবে পরিচিত। পার্বত্য এলাকার বাঙ্গালীরা এ দিনটি পাকুয়াখালী ট্রাজেডি তথা ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যাকাণ্ড দিবস হিসেবে পালন করে থাকে।
তাই অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও উক্ত হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে দিবসটি পালন করেছে পার্বত্য বাঙালীসহ পাহারের বিভিন্ন সংগঠন।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) লংগদু উপজেলায় নিহত কাঠুরিয়াদের গণকবর জিয়ারত, শোক র্যালী, দোয়া ও আলোচনা সভা করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ লংগদু শাখা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ লংগদু শাখার সভাপতি মোহাম্মদ খলিলুর রহমান খান,রাঙ্গামাটি জেলার যুগ্ম সম্পাদক এবিএস মামুন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের খাগড়াচড়ি জেলা সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, খাগড়াছড়ি পৌর কাউন্সিলর এসএম মাসুম রানা, বাঘাইছড়ি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদঃ আব্দুল কাইয়ুম, সহসভাপতি রাঙ্গামাটি জেলার কাজী মোঃ জালোয়া,এছাড়াও লংগদু উপজেলার বিভিন্ন নেতা কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
আটক ৩৬ জন কাঠুরিয়ার মধ্যে ইউনুস নামের একজন কাঠুরিয়া পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
সে পালিয়ে আসার পর,তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ,সেনাবাহিনী পাকুয়াখালীর পাহাড়ী জঙ্গল হতে ২৮ জন কাঠুরিয়ার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। বাকি ৭ জন কাঠুরিয়ার লাশ পাওয়া যায়নি।
১৯৯৬ সালের ৯সেপ্টেম্বর এই দিনে রাঙামাটি লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাকুয়াখালী নামক পাহাড়ী এলাকায় পাহাড়ী সন্ত্রাস শান্তি বাহিনী তথা জেএসএস (সন্তু)’র সশস্ত্র গ্রুপের হাতে প্রাণ হারায় এই ৩৫ জন নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়া।
প্রায় ২৪বছর হয়ে গেলেও এখনও এই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। এই দীর্ঘ সময়ের পরেও বিচার না পেয়ে বুক ভরা ব্যাথা হতাশা নিয়ে বেঁচে আছে নিহতদের পরিবার।
তাদের দাবী অতি শীঘ্রই খুনিদেরকে আইনের আওতায় রেখে শাস্তি প্রধান করা হোক এবং পাহাড়ে অস্ত্রদারী সন্ত্রাসদের থেকে পার্বত্যবাসীকে মুক্ত করতে হবে।