মো: সোহেল রানা, দীঘিনালা : খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছে ড্রাগন ফল। পাহাড়ের মাটি ড্রাগন চায়ের জন্য খুব উপযোগী তাই ড্রাগন ফলের আকার বড় হয়। স্বাদের ভিন্নতা এবং বিদেশি ফল হওয়ায় ড্রাগন ফলের চাহিদাও বেশী। দীঘিনালায় প্রতি কেজি ড্রাগন ফল আকারের ভিন্নতা অনুযায়ী ২শত ৫০ থেকে ৩‘শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ১ হেক্টর, তারমধ্যে উৎপাদন হয়েছে ৫ মেট্টিক টন। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ৫ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ মেট্টিক টন।
এ ব্যাপারে দীঘিনালা উপজেলার সুধীর মেম্বার পাড়া গ্রামের রাসেল ত্রিপুরা (৩৪) জানান, ২০১৫ সনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার্স শেষ করার পর চাকরির পাশাপাশি ভিন্ন আঙ্গিকের ফলদ বাগান সৃজন করার পরিকল্পনা করি। ২০২১ সনে প্রথম সাড়ে ৩‘শ ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করি। পরে ২০২২ সনে রেড বেলবেট জাতের আরো দুই হাজার চারা রোপণ করি। বর্তমানে দেড় একর জমি জুড়ে পিঙ্করোজ-ভিয়েতনামী, রেড বেলবেট- ভিয়েতনামী হলুদ এবং সাদা জাতের ড্রাগন গাছ রয়েছ। এ বাগান প্রস্তত করতে সর্বমোট সাড়ে চার লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। গত বছর বাগান থেকে উৎপাদিত ড্রাগন ফল বিক্রি করে প্রায় এক লাখ টাকা আয় করি এ বছর কমপক্ষে যাবতীয় খরচ বাদে আড়াই লক্ষ টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি হবে বলে আশাকরি। ড্রাগন বাগান সম্পর্কে কবাখালী ব্লাকের কৃষি উপ-সহকারী অফিসার স্বপ্না রানী বলেন, রঞ্জিতের ড্রাগন ফল মোটামুটি ভাল হয়েছে। এক একর জায়গায় ড্রাগন চাষ করেছে। এবছর সময় মত বৃষ্টি না হওয়ার কারনে ফলের আকার কিছুটা ছোট হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে আমরা ড্রাগন চাষে সব সময় পর্যবেক্ষন করছি ও পরামর্শ প্রদান করছি।
দীঘিনালা কৃষি কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেন বলেন, পাহাড়ের মাটি এবং আবহাওয়ার আর্দ্রতা ভালো হওয়ায় ড্রাগন চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। পাহাড়ে ড্রাগন ফলের আকার বড় হয়। উৎপাদন ভালো এবং লাভজনক ফল হওয়ায় দিন দিন চাষের দিকে ঝুকছে স্থানীয় বেকার যুবক ও চাষীরা ।
আপনার মতামত লিখুন :