দিঘীনালার দুই গৃহহীন পরিবারকে ঘর তৈরী করে দিয়েছে পার্বত্য প্রেসক্লাব ও সবুজ পাতার দেশ

সবুজ পাতার ডেস্ক ঃ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দিঘীনালা উপজেলাধীন ভূঁইয়াছড়া গ্রামের দুই গৃহহীন পরিবারকে গৃহ নির্মান করে দিয়েছে পেশাজীবি সাংবাদিকদের অন্যতম সংগঠন পার্বত্য প্রেসক্লাব ও দৈনিক সবুজ পাতার দেশ পত্রিকা। গত ৪ নভেম্বর শুক্রবার পার্বত্য প্রেসক্লাব ও সবুজ পাতার দেশ পত্রিকার অর্থায়নে ভূঁইয়াছড়ায় নির্মিত বসতঘর দুটি স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: হেলাল উদ্দিনকে সাথে নিয়ে সরেজমিনে দেখতে যান খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিবন্ধী কর্মকর্তা মো: শাহজাহান।
এসময় প্রতিবন্ধী কর্মকর্তা উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘এই সাংবাদিকদের সহযোগীতায় আমরা একই পরিবারের ৬ প্রতিবন্ধীর খোঁজ পেয়েছি। যাদের জেলা প্রশাসক মহোদয় নগদ অর্থ দেওয়ার পাশাপাশি সমাজ সেবা অধিদপ্তর, প্রতিবন্ধী অফিস এবং উপজেলা প্রশাসনকে সব ধরনের সহযোগীতার নির্দেশ দিয়েছেন। পার্বত্য প্রেসক্লাবের পরামর্শে জেলা প্রশাসক পদত্ত্ব টাকা দিয়ে আত্মকর্ম সংস্থানের লক্ষে প্রতিবন্ধী পরিবারের ৬ সদস্য যথা:- সাহারা খাতুন, মনির হোসেন, খালেদা , শারমিন, খোরশেদ ও ছাবিনা ইয়াছমিন প্রত্যেকেই একটি করে মোট ৬ টি ছাগল ক্রয় করেছেন, তা দেখে আমি অভিভূত হলাম। নগদ ২৫ হাজার টাকা ও ঘর তৈরির আশ্বাস পেয়ে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এর প্রতি খুবই সন্তুষ্ট প্রতিবন্ধী পরিারের সদস্যরা। প্রতিবন্ধী অফিসের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সাদাছড়ি প্রদান, প্রতিবন্ধীদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা চেকআপসহ সময়োপযোগী সহযোগীতা করা হচ্ছে এবং তা অব্যহত রয়েছে’’।
ইউপি সদস্য মো: হেলাল উদ্দিন বলেন, পার্বত্য প্রেসক্লাব নামক সাংবাদিকদের সংগঠনটি যেভাবে আত্মমানবতার সেবায় নিজেদের সম্পৃক্ত করছেন নানান প্রতিকূলতায় আমরা জনপ্রতিনিধিরাও এরকম পারছি না। সমাজের বিত্তবানরা সাংবাদিকদের এসব কর্মকান্ডে উদ্ভুদ্ধ হয়ে এগিয়ে এলে আমাদের পার্বত্যঞ্চল এমনকি দেশের সবাই স্বনির্ভর হতো।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী গৃহহীন খালেদা আক্তার এবং বসত ঘর আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে গৃহহীন হওয়া মাজেদা আক্তার ঘর পেয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন। এসময় তারা বলেন, সাংবাদিকদের উপর আল্লাহর রহমত আছে বলেই উনারা এসব ভালো কাজ করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য প্রেসক্লাবের সভাপতি দেব প্রসাদ ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক মো: জুলহাস উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, কার্যকরী সদস্য সুজন বড়ুয়া প্রমুখ।