তারেকের রিমান্ডে লন্ডন বিএনপি নেতা আব্দুল মালেক

নিউজ ডেস্ক: দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও গোপনীয় বিভিন্ন তথ্য ফাঁস হওয়া নিয়ে বহুদিন থেকেই বিব্রত তারেক রহমান। লন্ডনে বসে লন্ডন বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে তারেক রহমান কোন পরামর্শ করলে তা মুহূর্তে ছড়িয়ে যায়। বার বার এমন ঘটনায় ব্রিবত তারেক রহমান অবশেষে লন্ডন বিএনপি নেতা আব্দুল মালেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে মালেক অসংলগ্ন আচরণ করতে শুরু করলে বিষয়টি নিয়ে গভীর অনুসন্ধান করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারেক রহমান। এমনকি এমন বিশ্বাসঘাতকতায় জড়িত ব্যক্তিকে শুধু দল থেকে বের করে দেয়া নয়, সর্বো”চ শাস্তিও দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতারা।
সূত্র বলছে, বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচিতে রাজনৈতিক কৌশল, সাধারণ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটের চেষ্টার ফোনালাপ, জঙ্গি অর্থায়নের বিভিন্ন তথ্যসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়ে বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ায় অনেকদিন থেকেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠায় ছিলেন তারেক রহমান। তিনি এমন ঘটনাকে অপূরণীয় ক্ষতি বলেই উল্লেখ করছিলেন।
সর্বশেষ বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন পরিবর্তন করে তারেকের স্থালে জমির উদ্দিন সরকারকে প্রাথমিকভাবে মনোনীত করার পর বিষয়টি ফলাওভাবে প্রকাশ করা না হলেও তা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেয়ে যায়। এ ঘটনা ধৈর্য্যের সীমা অতিক্রম করে তারেকের। পত্রিকাগুলোতে বার বার লন্ডন বিএনপির নেতা মালেকের ঘনিষ্ঠজনের কথা উল্লেখ করায় মালেককেই এর জবাবদিহিতার জন্য ডাকা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তারেক রহমান এক ঘরোয়া বৈঠকে এ বিষয়ে মত প্রকাশ করে বলেছেন, তার ধারণা লন্ডন বিএনপির ওই নেতা মালেকের কয়েকজন স্পাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ বিএনপির কয়েকজন নেতার যোগাযোগ রয়েছে। যেসব তথ্য বাংলাদেশে বিএনপির কাছে পৌঁছানোর কথা নয়। সেগুলোও সেই স্পাইদের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। আর নিজ দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন তারা। এর বিনিময়ে তারা আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন। এককথায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিক্রি করছেন তারা।
তবে অনেক নেতাই মনে করছেন, তথ্যগুলো ফাঁস হচ্ছে মালেক এবং বাংলাদেশে ডেভিল খ্যাত কিছু নেতার মাধ্যমে। যারা বিগত সময়ে বিভিন্নভাবে বিএনপিকে ভাঙ্গার চেষ্টা চালিয়েছে এবং সংকটের মুখে ফেলতে চেয়েছে দলের অস্তিত্বকে।