-ড. কামাল হোসেনের সাথে বিএনপির গোপন চুক্তি ফাঁস

নিউজ ডেস্ক : ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বিএনপির গোপন চুক্তি ফাঁস হয়ে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে এক সঙ্গে নির্বাচন করবে বিএনপি।
সূত্রে জানা গেছে, ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যানের মধ্যস্থাতায় এই চুক্তি হয়। এই চুক্তি চূড়ান্ত হবার পর বুধবার ১৯ সেপ্টেম্বর বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। বিএনপির অধিকাংশ সিনিয়র নেতা, কারও নেতৃত্বে যাবার বিরোধী ছিলেন। বরং তাদের অবস্থাান ছিল যে, কোনো ঐক্য করতে গেলে নেতৃত্ব বিএনপির হাতেই থাকতে হবে। এ নিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তাও তৈরি হয়েছিল। তারেকের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ঐক্য প্রক্রিয়ায় বিএনপির যোগদান নিশ্চিত হয়। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে। যেহেতু জামায়াত নিবন্ধিত নয়, তাই আনুষ্ঠানিক ভাবে জামায়াত নেই। তবে, জামায়াত জাতীয় ঐক্যের সকল কর্মসূচিতে অংশ নেবে। আন্দোলনের কথা বলা হলেও এটি মূলত: নির্বাচনী জোট। এই ঐক্য প্রক্রিয়া ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করবে ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাবে বলেই জানা গেছে। ড. কামাল হোসেন এবং তারেক জিয়া দু’জনই একমত হয়েছেন যে, ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন করলে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে হেরে যাবে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, ৭ দফা সমঝোতার ভিত্তিতে বিএনপি ড. কামাল হোসেন ঐক্য হয়েছে। এই ৭ দফা চুক্তির মূল বিষয়গুলো হলো এরকম:
১. ড: কামাল হোসেন হবেন ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রধান নেতা
২. ঐক্য প্রক্রিয়ার স্বার্থে নির্বাচন পর্যন্ত সময়ে তারেক জিয়া নেপথ্যে থাকবেন। বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অথবা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
৩. নির্বাচনে ১০০ থেকে ১২৫ টি আসন বিএনপি তার শরিকদের ছেড়ে দেবে। এই ছেড়ে দেওয়া আসনে অন্তত ১৫টি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দেওয়া হবে।
৪. নির্বাচনে জয়ী হলে ড. কামাল হোসেন হবেন প্রধানমন্ত্রী।
৫. ড. কামাল হোসেনের সরকার স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার ব্যবস্থাা করবে, তাঁর বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করবে, তারেক জিয়াকেও মুক্ত ভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থাা করবে। বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
৬. নির্বাচনে জয়ী হলে বর্তমান সংবিধান সংশোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।