জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবীতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল


admin প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫, ৮:৫৪ অপরাহ্ন /
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবীতে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল

মো: শরীফুল ইসলাম ভূইয়া, আসাদ : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি এবং জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খাগড়াছড়ি জেলা শাখার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
১৮ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জেলা আমীর অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে এই মিছিল চেঙ্গি স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের খাগড়াছড়ি জেলা আমীর অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সরকারের দায়ের করা মামলায় মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এটিএম আজহারুল ইসলামকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এসব সাক্ষ্য অবিশ্বাস্য এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকার পতনের পরও এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি হয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। জামায়াত এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে এবং দলের নিবন্ধন বাতিলের ঘটনাকে অন্যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের ২৯৮ নং খাগড়াছড়ি আসনের জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরী। তিনি বলেন, বিচারিক কার্যক্রম বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ। এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা অন্যায় এবং তার দ্রুত মুক্তির দাবি জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইউসুফ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মিনহাজুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি আব্দুল মান্নান, জামায়াতের সদর উপজেলা আমীর মোঃ ইলিয়াছ, ইসলামী ছাত্রশিবির খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি মোঃ মাঈন উদ্দিন এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মিনহাজুর রহমান বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে ধর্মীয় রাজনীতি বৈধ, অথচ বাংলাদেশে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। তিনি অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।