সাধারণ

জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি আসনে এগিয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগের কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

সবুজ পাতা ডেস্ক : খাগড়াছড়ি আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারনা । শহর থেকে গ্রাম ও পাড়ায় পাড়ায় নির্বাচনী আমেজ। এবার ত্রিমূখী প্রতিদ্বন্ধিতা হবে। এ আসনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। আওয়ামী লীগের কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বিএনপির শহিদুল ইসলাম ভূইঁয়া ফরহাদ, ইউপিডিএফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নতুন কুমার চাকমা, জাতীয় পার্টির সোালায়মান আলম শেঠ এবং ইসলামী আন্দোলনের আবদুল জব্বার গাজী। ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে জরিপে ও বর্তমান নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে এগিয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগের কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
বিগত ১০ বছরে পার্বত্য এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন থাকায় জনসাধারনে স্বস্তির ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। সার্বিক বিবেচনায় আবারও নৌকা জয়ী হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে সাধারন ভোটাররা। জেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে আওয়ামী লীগের পথসভা ও গণসংযোগ এখন তুঙ্গে। বিবেদ ভুলে সকল নেতাকর্মী নৌকার বিজয়ে একাত্বতা ঘোষণা করেছে।
১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিঘীনালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভা করেন।
র‌্যাংকার্যা উ”চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি টিটন চাকমা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আটারকছড়া গ্রামের কর্মজ্যোতি চাকমা, রাঙ্গাপানিছড়া গ্রামের মঞ্জু দেওয়ান এবং ১নং মেরুং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. রফিক মিঞা।
গণসংযোগে অন্যদের মধ্যে উপস্থিাত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি রণ বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহেদুল আলম, জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আশুতোষ চাকমা, শতরুপা চাকমা, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি আবুল কাশেম, দিঘীনালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেম, ১নং মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রহমান কবির রতন এবং ৩নং কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

পথ সভায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন,‘‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পাহাড়ের দীর্ঘ দিনের পাহাড়ি-বাঙালি রক্তক্ষয়ী সংঘাত বন্ধ হয়েছে। এখন সবাই দিন-রাত অবাধে চলাফেরা করতে পারে। পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতির বন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে পাহাড়ের আনাচে-কানাচে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে। এখানকার রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্টসহ সার্বিক উন্নয়নের ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী করনের ফলে এলাকার শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষা পাচ্ছে। গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় থেকেও ইন্টারনেট এবং বিদ্যুৎসহ ডিজিটাল সুবিধা পাচ্ছে। শেখ হাসিনার ঘোষণা, আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রত্যেকটি গ্রামকে শহরে পরিণত করা হবে। পরে উপজেলার আটারকছড়া, চোংড়াছড়ি, মেরুং বাজার, বেতছড়ি বাজার, বাবুছড়া বাজার কবাখালী বাজার, হাচিনসনপুর এবং উত্তর কবাখালী এলাকায় গণসংযোগ করে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থণা করেন। অপরদিকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার পক্ষে প্রচারনায় নেমেছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে খাগড়াছড়ি বাজার,পানখাইয়া পাড়া, মধুপুরসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল চাকমা,শতরূপা চাকমা,ছাত্রলীগের সভাপতি টিকো চাকমা, জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলমসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংঠনের নেতাকর্মী। গণসংযোগ করার পাশপাশি তিনি সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড তুলে ধরেন এবং উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট চান।
বিএনপি:- ১৭ ডিসেম্বর সোমবার বিকালে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি মনোনিত ধানের শীষের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ভূইঁয়া ফরহাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা চালান তারই আপন চাচা জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ওয়াদুদ ভূইঁয়া।
মামলা জটিলতার কারনে তিনি র্নিবাচন করতে না পারায় তারই পরিবর্তে খাগড়াছড়ি আসনে নির্বাচন করছেন তার আপন ভাতিজা শহিদুল ইসলাম ভুইয়া ফরহাদ। প্রচারনা কালে গুইমারা উপজেলা সদর, বড়পিলাক ও হাফছড়িসহ বেশ কয়েকটি স্থাানে পথ সভা ও গনসংযোগ করেন তিনি।
৩০শে ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে বিএনপির প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করার আহবান জানানো হয়।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ ইউচুপের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আ: মালেক মিন্টু, জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুুল আলম সবুজ সহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির অংগ ও সহযোগী সংগঠেনর নেতাকর্মীরা উপস্থিাত ছিলেন।
জাতীয় পার্টি:- জাতীয় পার্টিও জেলায় ব্যাপক পথ সভা ও গনসংযোগ করেছেন। ১৬ ডিসেম্বর শহীদদের স্মরনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ। ২০ ডিসেম্বর খাগড়াছড়িতে আসবেন বলে জানা গেছে। কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button