সাধারণ

ঘুমধুমে মালিকানাধীন জায়গা জবর দখলে নিতে নির্বিচারে বনায়ন কর্তন

নিজস্ব প্রতিবেদক,উখিয়া,কক্সবাজারঃ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা জবর দখলে নিতে কয়েক শতাধিক গাছ কেটে সাবাড় করার অভিযোগ উঠেছে আরেক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গার মালিক ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেছে। দায়েরকৃত অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে,উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ২৭১ নং মৌজার ১৬৫ নং খতিয়ানের ১ একর ৫৯ শতক প্রথম ও তৃতীয় শ্রেণির জায়গায় খামার বাড়ি নির্মাণ পূর্বক আকাশমনি সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বনায়ন সৃজন করেন জায়গার মালিক উত্তর ঘুমধুম বড়ুয়া পাড়ার মৃত বদন বড়ুয়ার ছেলে রতন বড়ুয়া।তার বনায়নের পাশ্বর্স্থ কক্সবাজার পৌরসভার ঝাউতলা এলাকার বাসিন্দা জামাল উদ্দিনের ছেলে কাজী আবুল মাসুদের লীজ প্লট রয়েছে।মাসুদের সাথে রতন বড়ুয়ার জায়গা-জমির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে।তারই জের ধরে গত ২০ জানুয়ারী ভোর সকালে রতন বড়ুয়ার অনুপস্থিতির সুযোগে মাসুদের নেতৃত্বে উত্তর ঘুমধুমের মগঘাটের বদিউর রহমানের ছেলে মোঃ জসিম,গিয়াস উদ্দিন, মোঃ মুফিজ, মোঃ তোফায়েল, সুলতান আহমদের ছেলে নুরুল কবির,দরবেশ আলীর ছেলে মোঃ আমিন, মোঃ জাফর, আলীর ছেলে কালু, জনৈক মোঃ আবসার ও জনৈক গাজী সালাহ উদ্দিন সংঘবদ্ধ হয়ে দা,কুড়াল,করাত নিয়ে রতন বড়ুয়ার বাগানে অনাধিকার প্রবেশ করে অন্তত পাঁচ শতাধিক গাছ কেটে নির্বিচারে সাবাড় করে।এতে রতন বড়ুয়ার ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এতে রতন বড়ুয়া খবর পেয়ে বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে বাগান ছাড়া করবে,জানে মেরে লাশ গুম করবে মর্মে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।এমন কি মাসুদের লালিত নারী লেলিয়ে দিয়ে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হাকাবকা করে যাচ্ছে।নিরুপায় রতন বড়ুয়া প্রতিকার চেয়ে ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেছে। এ বিষয়ে আবু মাসুদের সাথে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আমিন বলেছেন,ঘটনাস্থলে গিয়েছি,তদন্তাধীন রয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেছেন,বিষয়টি শুনেছি,ক্ষতিগ্রস্ত বাগান মালিক কে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button