খাগড়াছড়িতে গাঁজা ক্ষেতের পর গাঁজার নার্সারী ধ্বংস করলো জেলা প্রশাসন

সবুজ পাতা ডেস্ক : খাগড়াছাড়িতে গাঁজা ক্ষেতের পর গাঁজার নার্সারী ধ্বংস করলো জেলা প্রশাসন।
১৬ জুলাই শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এর নির্দেশে এনডিসি বাসুদেব কুমার মালো পুলিশ, বিজিবি ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সিপাহী খালেদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড ফুটবিল এলাকার কারবারী অমলেন্দু চাকমার বাড়ীতে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেন। এ অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেনসহ সংবাদকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। অভিযান পরিচালনা কালে বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ৬ হাজার ২ শত ২২টি গাঁজার চারা জব্দ করে বিদুষী চাকমা ও রেটিনা চাকমা নামে দুই জনকে খাগড়াছড়ি সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে গাঁজার চারাগুলো খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সিপাহী খালেদ হোসেন ও সংবাদ কর্মীদের উপস্থিতিতে রাত সাড়ে ৯টায় ধ্বংস করা হয়।

এনডিসি বাসুদেব কুমার মালো বলেন, জেলা প্রশাসন অত্র জেলার যে কোন অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সদা তৎপর। আজ আমরা একটি সফল অভিযান পরিচালনা করেছি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিধি মোতাবেক নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেওয়া সাব-ইন্সপেক্টর উইলিয়াম ত্রিপুরা বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা অভিযানে অংশ গ্রহন করি। খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড ফুটবিল এলাকার কারবারী অমলেন্দু চাকমার বাড়ীর আঙ্গিনায় গাঁজার চারা পরিচর্যাকালে বিদুষী চাকমা ও রেটিনা চাকমাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে ৬ হাজার ২শত ২২টি গাঁজার চারা জব্দ করে পরে তা ধ্বংস করা হয়।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একই পরিবারের ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীরা হলো: কারবারী অমলেন্দু চাকমা ও তার দুই পুত্র চন্দ্রনাথ চাকমা, অরুন বিকাশ চাকমা এবং দুই পুত্রবধু বিদুষী চাকমা ও রেটিনা চাকমা।
মামলা নং- ৫, তারিখ-১৬-৭-২০২১খ্রি:।

উল্লেখ্য যে, গত ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১খ্রি: জেলা প্রশাসক এর নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শ্যামানন্দ কুন্ড- খাগড়াছড়ি জেলা সদরের চম্পাঘাট এলাকায় ৪০ শতক জমিতে সৃজিত প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যের গাঁজার ক্ষেত ধ্বংস করে। গাঁজা ক্ষেত এবং গাঁজার চারা ধ্বংসের দুই অভিযানেই অন্য সংবাদকর্মীদের সাথে পার্বত্য প্রেস ক্লাবের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।