সাধারণ
গর্জনিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি দু চেয়ারম্যানের দ্বন্ধে চার দফা টেক্স আদায়ে অতিষ্ট ব্যবসায়ীরা

মোহাম্মদ ইউনুছ, নাইক্ষ্যংছড়ি : রামু উপজেলার বৃহত্তর গর্জনিয়া বাজার ও নাইক্ষ্যংছড়ির দুইটি বাজারই দক্ষিণ চট্টগ্রামের কাচা তরি তরকারি রপ্তানিতে সেরা। সাপ্তাহিক সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি আর বিকালে গর্জনিয়া বাজার বসে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে মালামাল ক্রয় করে নিয়ে যায়। বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত ট্যাক্স আদায়ের অভিযোগ থাকলেও সম্প্রতি নাইংক্ষ্যংছড়ি-কচ্ছপিয়া দুই চেয়ারম্যানের দ্বন্ধের কারণে চার দফা ট্যাক্স দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকাল ১০ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি ইজারাদারদের সাথে ব্যবসায়ীদের তুমুল দ্বন্ধ। ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক, নুর আলম, আব্দুল খালেক, এরশাদ, আবু ও মোস্তাক সহ অনেকে এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার গর্জনিয়া-নাইক্ষ্যছড়ি বাজার থেকে কলা লেবু পেঁপে মরিচ বেগুন শশা সহ বিভিন্ন তরি-তরকারি ক্রয় করে নিয়মিত ট্যাক্স দিয়ে যুগ যুগ ধরে ব্যবসা করে আসছি। তখন গর্জনিয়া বাজার থেকে ক্রয় রশিদ থাকলে নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ ট্যাক্স নিত না। আজ দেখছি এখানেও ট্যাক্স নিচ্ছে। এভাবে গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়ন ও জেলা পরিষদের ট্যাক্স দিয়ে আর ব্যবসা করা যাবে না। স্থানীয় কৃষকদের দাবী, বাহিরের ব্যবসায়ীরা না আসলে আমাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবো আমরা। কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাঈল (নোমান) জানান, এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির চেয়ারম্যান আমাকে জানালে আমি সাথে সাথে নাইক্ষ্যংছড়ির মালামাল থেকে ট্যাক্স নিতে মানা করেছি। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার (ইমন) জানান, আমরা কচ্ছপিয়ার রশিদ থাকলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিই না। বিষয়টি আমি বার বার কচ্ছপিয়ার চেয়ারম্যানকে বলেছি। নাইক্ষ্যংছড়ির রশিদ দেখেও বড় জামছড়ি বদিরিন্নার ঘাটে আজ সোমবারও টাকা নিয়েছে, তাই আমি আজকে গর্জনিয়ার মালামাল থেকে টাকা নিতে বলেছি।