সাধারণ

খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিভাগের অনিয়ম-দুর্নীতি-(১) টাকার বিনিময়ে বাঁশের খুঁটি ও বাগানের জীবিত গাছে তার পেঁচিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ খাগড়াছড়ির অনেক এলাকায় হাজার হাজার টাকা উৎকোচ নিয়ে বাঁশের খুঁটি দিয়ে বিদুৎ সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠছে খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের বিরুদ্ধে। প্রতি গ্রাহক পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে সংযোগ নিলেও নানান ছল চাতুরীতে বৈদ্যুতিক খুঁটি ব্যবহার না করে বাঁশ, গাছ এমনকি অনেক স্থাানে বাগানের জীবিত গাছে তার পেঁচিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বৈদ্যুতিক খুঁটির জন্য লবিং তদবির করলে উল্টো সংযোগ কেটে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগও করেন অনেক গ্রাহক। আর এ সব অবৈধ লেনদেন বিদ্যুৎ অফিসের উ”চমান সহকারী উত্তম কুমার সরকার সমন্বয় করে থাকেন বলে জানা যায়।
খাগড়াছড়ি সদরের সবুজবাগ এলাকায় শতাধিক এবং রূপনগর এলাকায় ৫০-৬০ টি বাড়িতে এধরনের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া জেলার প্রত্যেক উপজেলায় এধরনের ঝুঁকিপূর্ন ও নিয়মবর্হিভূত সংযোগ রয়েছে বলে জানা যায়। খাগড়াছড়ি সদরের সবুজবাগ এলাকায় ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে সংযোগ নেওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গ্রাহক জানান, ‘‘আমি সহ এলাকার সবাই টাকা দিয়েই সংযোগ নিয়েছি, সংযোগ এবং খুঁটির জন্য আলাদা করে টাকা দেওয়া হয়েছে কিন্তু আজ কাল করে বিদ্যুৎ অফিস খুঁটি দিচ্ছেন না। ছোট ছোট এই বাঁশের খুঁটি সামান্য বাতাসে নাড়াচারা করলে লোজ কানেকশনের কারনে অনেক সময় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে তার পুড়ে যায়/ বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র নষ্ট হয়। কোনদিন বিদ্যুতের আগুনে পুড়ে মরি তার আতঙ্কে থাকি সবসময়।’’
রূপনগর এলাকায় বাঁশের খুঁটিতে সংযোগ নেওয়া এক গ্রাহক বলেন, ‘‘ অনেক টাকা দিয়ে সংযোগ নিয়েছি। কয়েকদিনের মধ্যে খাম্বা দিব বলেছিল। কিন্তু এখন আর খবরও নেয় না। দু‘দিন পর পর বাঁশ উল্টে পড়ে যায়। তার ছিঁড়ে। ঝামেলা। বহুত ঝামেলা কারেন্ট অফিস।’’
বাঁেশর খুঁটি ও বাগানের জীবিত গাছ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ‘‘বাঁশ বা জীবন্ত গাছ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সংযোগের কোন নিয়ম নাই। আনন্দ নগরের আশ-পাশে অনেক আগেই তারা বাঁশ দিয়ে বিদ্যুৎ নিয়েছিল। অনতিবিলম্বে আমরা সেখানে পিলারের ব্যবস্থাা করছি’’। চলমান……।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button