খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনে চার মেয়র প্রার্থীই আশাবাদী

সবুজ পাতার ডেস্ক : খাগড়াছড়ির পৌর নির্বাচনের আর মাত্র ১৩ দিন বাকী থাকলেও তেমন সরগরম হয়ে উঠছেনা প্রচার প্রচারনা। প্রকৃতি প্রেমী খাগড়াছড়ির প্রার্থীদের প্রকৃতির মতোই শীতলভাবে দেখা যাচ্ছে। এখনো অনেক এলাকায় মেয়র প্রার্থীদের ছাপ পড়েনি। তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের খাগড়াছড়িতে কর্মী সমাবেশ ও দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় সরগরম হয়েছে খাগড়াছড়ি। তবে যোগ্য প্রার্থীর অভাব বোধ করছেন সচেতন মহল। দোদুল্যমান অনেক ভোটার। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী চার মেয়র প্রার্থীই।
গত ৩০ ডিসেম্বর বুধবার সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী। নির্মলেন্দু চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্তমান মেয়র সাধারন ঠিকাদারদের স্বার্থ জলাঞ্জলী দিয়ে শুধু নিজের পছন্দের ঠিকাদারদের দিয়ে পৌরসভার সকল উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করেন। নির্বাচিত হলে এমনটি হতে দিব না। সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে দল আমাকে মনোয়ান দিয়েছেন। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী’’। তবে সংবাদ সম্মেলনের সময় নীচ তলায় কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা কিছুটা বিব্রত অবস্থায় ফেলে। তাছাড়া নির্মলেন্দু চৌধুরী সম্মেলনকে পেটেভাতে সংবাদ সম্মেলন বলে আখ্যায়িত করেছেন অনেক সাংবাদিকরা। কারণ মহাজন পাড়ায় এফএনএফ রেস্টুরেন্টে বহু আইটেম সস্বলিত দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল সেদিন।
বিএনপির প্রার্থী খলিলুর রহমান খলিল সাবেক ছাত্রনেতা। বর্তমানে যুবনেতা-বয়সেও তরুন। গত ৩১ ডিসেম্বর দলীয় কার্যালয় ছেড়ে কলাবাগানস্থ সাবেক এমপি ও দলীয় সভাপতি ওয়াদুদ ভুইয়ার বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপির প্রার্থী খলিল। সংবাদ সম্মেলনে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন খলিল। তবে সরকারি দল আওয়ামী লীগের ডিজিটাল কারচুপির আশংকাও করেন তিনি। এদিকে অনেক প্রবীন দলীয় নেতাকে বঞ্চিত করে অপেক্ষাকৃত তরুন খলিলকে দলীয় মনোনয়নে কিছু বিএনপির নেতা এখনো মুখ ঘুড়িয়ে আছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল আলম যদিও তিনি বর্তমানে বরাবরের মতো নাগরিক কমিটির প্রার্থী বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছেন। গত ১ জানুয়ারী বাছাই করা সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘যদিও আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম কিন্তু অসংখ্য কর্মী সমর্থকদের আনুরোধ উপেক্ষা করতে না পেরে প্রার্থী হয়েছি। আশা করি বিপুল ভোটে তৃতীয় বারের মতো জয়ের মুকুট আমার মাথায় উঠবে’’। অন্য দুইবার স্বতস্ত্র বা নাগরিক কমিটির প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন রফিকুল আলম। কিন্তু এবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর খেতাব থাকায় কঠিন যুদ্ধের মুখোমুখী হতে হবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
এদিকে কোনবারই জাতীয় নির্বাচনে খাগড়াছড়িতে জামানত ফেরত পায়নি জাতীয় পার্টি। তবে স্থানীয় রাজনীতিতে তেমনটি নাও হতে পারে। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল বিএনপির জন বিচ্ছিন্নতা জাতীয় পার্টিকে জয় এনে দেওয়ার পথ্য হিসেবে কাজ করবে এমনটা আশা জাতীয় পার্টির নেতা মেয়র প্রার্থী ফিরোজ আহমেদের।