সাধারণ
খাগড়াছড়ি জেলা সদরে একই পরিবারের ৪ প্রতিবন্ধীর ৩ জনেই ভাতাবিহীন

খাগড়াছড়ি সদর বেতছড়ি এলাকায় একই পরিবারে ৪ প্রতিবন্ধী। সবার ছোট কন্যা সন্তানটি ভাতা পেলেও অন্য ৩ জন ভাতা পায় না। সংবাদ কর্মী রিপন ওজা চেষ্টা করেছিলেন প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতিবন্ধী কার্ড সংগ্রহ করে ভাতার ব্যবস্থা করতে কিন্তু তিনি বিভিন্ন প্রতিকুলতার কারনে ব্যর্থ হলেন।
তাই সংবাদকর্মী রিপন ওজা আক্ষেপ করে ফেইজ বুকে যা লিখলেন তা নিম্নে উপস্থাপন করা হলো:-
‘‘মাননীয় খাগড়াছড়ি ডিসি স্যারের সহযোগিতা প্রার্থনা করছি। ছবিতে একই পরিবারে সকল সদস্যরাই প্রতিবন্ধী। আমি অনেক চেষ্টা করেছি প্রতিবন্ধী কার্ড ও ভাতার সুবিধার আওতায় আনতে। কিন্তু পারিনি। দায়িত্ব জ্ঞানহীন দুনীর্তির কারণে এদের ন্যায্য অধিকার যাহা বাংলাদেশ সরকার কতৃর্ক গৃহিত সেসব সুবিধা বিনামূল্যে গ্রহনের সুপারিশ বাস্তবায়ন আইন থাকলেও মূলত প্রতিবন্ধীরা প্রতি পদে পদে অবহেলিত বঞ্চিত লাঞ্চিত অত্যাচারিত হচ্ছে এবং প্রতিবন্ধী কার্ড ভাতা গ্রহনে ও সিলেক্টশনে দিতে হচ্ছে ২০০০/২৫০০/৩০০০টাকা করে ঘুষ। ঘুষ দিবেন ভাতা কার্ড পাবেন আজ এই নীতিতে প্রতিবন্ধীদের নীরব কান্না কেউ উপলব্ধি করেনা। এসব দুনীর্তি রুখতে প্রশাসন কতটা আন্তরিক আমার জানা নেই। মাননীয় ডিসি স্যার আমি বেশি কিছু বলতে চাই না,,,, কারন আমি ছোট মানুষ। আমি মাননীয় ডিসি স্যারকে শুধু এইটুকুই প্রার্থনা করব দয়াকরে প্রতিবন্ধীদের প্রতি ও প্রতিবন্ধী সকল প্রকার কার্যক্রম ডিসি অফিসের মাধ্যমে সরাসরি পরিচালনা করুন। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলব যতদিন সরকারের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের কার্যক্রম পরিচালিত হবেনা ততদিন টাকার বিনিময়ে ভাতা কার্ড প্রচলন থাকবেই। আর প্রতিবন্ধীরা এভাবেই নীরবে চোখের জলে ভাসবে। যাহা আপনার প্রশাসন কখনও এর সত্যটা পাবেন না।
@নোটঃ—উক্ত পরিবার থেকে মাত্র ১জন ভাতা পায় সবার ছোট মেয়েটি। পরিবারের বড় কর্তাটি শারিরীক প্রতিবন্ধী এক পা ভাঙ্গা, এর স্ত্রী শারিরীক প্রতিবন্ধী একদম হাঁটতে পারেন না, বড় মেয়ে শারিরীক প্রতিবন্ধী হাতে শক্তি কম, ছোট মেয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী টোটালি দেখে না। আমি সমাজসেবা অফিসে পাঠিয়েছি গত বছর। কিন্তু শারিরীক ও আথির্ক কারণে অফিসের কাজগুলো করা এদের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ যেখানে ১কেজি চাল কেনার সামর্থ্য তাদের হয়না। সেখানে ১৫০/১৬০ টাকা গাড়ি ভাড়া করে এবং একজন শারিরীক প্রতিবন্ধীর পক্ষে ২/৩/৪তলাতে ডাক্তারের সাইন সংগ্রহে অসম্ভব। মাননীয় ডিসি স্যারকে আরেকবার প্রার্থনা করছি দয়াকরে প্রতিবন্ধীদের কার্যক্রমের প্রতি সুদৃষ্টি তদারক দিন আর আপনার প্রশাসনকে এব্যাপারে কার্যকর ভুমিকা রাখতে বিনীত অনুরোধ।অন্তত প্রতিবন্ধীরা শত শারিরীক মানসিক সমস্যার মাঝেও কিছুটা শান্তি পাবেন। আর আপনিও সকলের আশীর্বাদ দোয়া প্রার্থী হবেন। পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে সবিনয়ে বিবেচনা করতঃ আপনার মর্জি হউক ‘’।