প্রতিনিধি:
সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশন (এসডিসি) এর অর্থায়নে তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার বাস্তবায়নাধীন ‘আস্থা’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় গঠিত খাগড়াছড়ি জেলার নয়টি উপজেলার ‘আস্থা ইয়ুথ গ্রুপ’র রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।
‘সংবেদনশীল সমাজ গঠনে যুব নেতৃত্ব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিষয়ক রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ’ শিরোনামে উপজেলা ব্যাচ ভিত্তিক এ প্রশিক্ষণ শুরু হয় গত মাসের ১৫ তারিখে। শেষ হয়েছে চলতি(জুন, ২০২৫) মাসের ২০ তারিখে। প্রতি ৩০ জনের ব্যাচকে তিনদিন আবাসিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় জেলার মিলনপুরস্থ হিলটপ গেস্ট হাউস হোটেলে।
প্রশিক্ষণে সেশনের বিষয়সমূহ ছিল, জাতীয় যুব নীতিমালা, নেতা ও নেতৃত্বের বিকাশ, যোগাযোগ ও সম্পর্ক স্থাপন, ‘পরিচয়, সংস্কৃতি, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ’, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় অন্তর্ভূক্তিকরণের অধিপরামর্শ, ডিজিটাল লিটারেসি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্যাক্ত সৃষ্টি, সৃজনশীল চিন্তা ভাবনার দক্ষতা উন্নয়ন, সমস্যা সমাধানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া উল্লেখযোগ্য।
প্রশিক্ষণে সংস্থার নিজস্ব ফ্যাসিলিটেটর(সহায়ক) ছাড়াও প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি অধিদফতরের কর্মকর্তা, নাগরিক প্লাটফর্মের সদস্য, সাংবাদিক ও অন্যান্য এনজিও’র দক্ষ প্রশিক্ষকরা সেশন পরিচালনা করেছেন।
সরকারি অধিদফতরের মধ্যে
জেলা যুব উন্নয়ন, জেলা তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি, জেলা নির্বাচন অফিস, জেলা সমাজসেবা উল্লেখযোগ্য।
মাসব্যাপী প্রশিক্ষণটি সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন, আস্থা প্রকল্পের জেলা সমন্বয়ক ধনেশ্বর দেওয়ান। এ প্রশিক্ষণে সহায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন প্রকল্পের মনিটরিং অ্যান্ড রিপোর্টং অফিসার মিহির কান্তি ত্রিপুরা, ফিল্ড অ্যাসোসিয়েট সোনিয়া দাশ, চিংথৈউ মারমা, পপেন ত্রিপুরা ও তুহিন চাকমা প্রমুখ।
এছাড়াও প্রশিক্ষণে সহায়ক হিসেবে সেশন নিয়েছেন জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, জেলা নাগরিক প্লাটফর্মের আহবায়ক সাধন বিকাশ চাকমা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন চন্দ্র রায়, যুব উন্নয়ন অধিদফরের উপপরিচালক হাফিজা আইরিন, যুগ্ন আহবায়ক তৃনা চাকমা, সদস্য রূপায়ন তালুকদার, জেলা আইসিটি অফিসার মাহবুবা আক্তার, জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ কামরুল আলম, জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বিপেন্দু চাকমা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সাল থেকে তিন বছর মেয়াদী ‘আস্থা’ শীর্ষক প্রকল্পটি খাগড়াছড়ি জেলার নয়টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো, জ্যৈষ্ঠ নাগরিক ও যুব সমাজের মধ্যে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজে মানবাধিকার, ন্যায্যতা ও গণতন্ত্র চর্চা করে একটি সংবেদনশীল সমাজ বিনির্মাণ করা।
আপনার মতামত লিখুন :