খাগড়াছড়িসহ ৬ জেলার ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন

প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ ও চাঁদপুরে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এমপি। ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বহিরাগমন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ আইয়ুব চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সাংসদ ও টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ বাসন্তী চাকমা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোঃ শহিদুজ্জামান, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ।
আঞ্চলিক ই-পাসপোর্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এমপি বলেন, ই-পাসপোর্ট হচ্ছে মুজিববর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার। বিগত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক এক ঘোষণার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সারাদেশে পর্যায়ক্রমে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হবে। তারই ধারাবাহিকতায় এ ৬ জেলার ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হলো। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে কথা দেন তিনি সে কথা রাখেন, যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে ই-পাসপোর্ট। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ই-পাসপোর্ট চালু করবেন। তাই সারাদেশে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মন্ত্রীর একান্ত সচিব দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার মোঃ শাহরিয়ার জামান, পার্বত্য চট্রগ্রাম রিজিয়নাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফরিদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল জাহাঙ্গীর আলম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল জাহিদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ সহ সামরিক-বেসামরিক ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।
ই-পাসপোর্ট ব্যবস্থায় বইয়ের সঙ্গে একটি ডিজিটাল পাতা (ডাটা পেজ) জুড়ে দেয়া হয়। ডিজিটাল পাতায় উন্নতমানের মেশিন রিডেবল চিপ বসানো থাকে। এতে সংরক্ষিত থাকে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য।
ডাটা পেজে থাকে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ। ভ্রমণকালে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কম্পিউটারের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন।
বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয় না। ঝামেলা বিহীনভাবে ই-গেট ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করা যায়।