সাধারণ

খাগড়াছড়িতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ঘাতক স্বামী জামাল উদ্দিনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ

 

সুজন বড়ুয়া ঃ খাগড়াছড়িতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ঘাতক স্বামী জামাল উদ্দিনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ১০ হাজার টাকা হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়। ১০ ডিসেম্বর বৃৃৃহস্পতিবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রেজা মোঃ আলমগীর হাসান আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন। ঘটনার চার বছরের মধ্যে আদালত এই রায় ঘোষনা করেন। আসামি জামাল উদ্দিন (৪০) জেলার মাটিরাঙা উপজেলার কাজীপাড়া এলাকার মুন্সি সেরাজুল হকের ছেলে। রায় ঘোষণার পর আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি রায়ের তারিখ থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে আপিল দায়ের করতে পারবে বলে জাানান আদালত। মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট বিধান কানুনগো জানান, ২০০৮ সালে আসামি মো. জামাল উদ্দিন এর সাথে একই উপজেলার সিসকপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুুুর রহিমের কন্যা মোছা. রিনা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ফাহিমা আক্তার (৫) নামে একটি কন্যা ও ইকবাল হোসেন (১০) নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর পািিরবারিকবিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে নিজ ঘরে স্ত্রী রিনা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনার পরের দিন নিহতের বাবা আবদুর রহিম বাদী হয়ে মাটিরাঙা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামি নিজেও ১০ জানুয়ারী ২০১৭ইং তারিখে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোঃ নোমানের আদালতে কনফেশনাল স্টেটমেন্ট দেন। তদন্ত শেষে বিগত ২৬ মার্চ, ২০১৭ইং তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ মজিবুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষ মামলায় ৯জন স্বাক্ষী উপস্থাপন করলে স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য শেষে অভিযোগটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ড ও দশ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করে আদালত রায় ঘোষনা করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোঃ শাহীন হোসেন বলেন আসামি ন্যায় বিচার পায়নি, আসামি পক্ষ উচ্চ আদালতে যাবে।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button