সাধারণ

খাগড়াছড়িতে মুজিব বর্ষের ঘর পেয়ে আনন্দ উল্লাস

রহিম হৃদয় :
সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়িতেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী তার দেওয়া উপহার মুজিব বর্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে খাগড়াছড়ি জেলায় ২য় ধাপে ১৯৬৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘরের কাগজপত্রের ফাইল হস্থান্তর করা হয়। উপকারভোগীরা ফাইল উচিয়ে ধরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। খাগড়াছড়ি সদর গোলাবাড়ী, পেরাছড়াসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় মুজিব বর্ষের ঘর পেয়ে ঘরে ঘরে আনন্দ উল্লাস চলছে। উপকারভোগী গুন্না বেগম নামের একজন উচ্ছ্বাস ভরা কন্ঠে বলেন, “আইজ আমাগো ঘরে ঘরে আনন্দ। খুব খুশি লাগতাছে। ঘরের কাজ অনেক সুন্দর ও মজবুত হইছে। মিলাদ দিমু। প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি”। খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলার জন্য ৩৫৮৯টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ১ম পর্যায়ে ২৬৮টি ঘর হস্থান্তর করা হয়েছে। ২য় ধাপে ১৯৬৩টি পরিবারের নিকট ঘরের চাবি হস্থান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি সদর ১৭৫টি, দীঘিনালা ২৯১টি, পানছড়িতে ৩০৭টি, রামগড়ে ৯১টি, গুইমারায় ১০৯টি, মাটিরাঙ্গায় ১৯৩টি, মানিকছড়িতে ২৭৩টি এবং লক্ষীছড়িতে ৪১২টি পরিবারের মাঝে নতুন ঘরের চাবি হস্থান্তর করা হয়। অবশিষ্ট ১৩৯৮টি ঘর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^াস বলেন, ”মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন, বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি“। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজ মতিন বলেন, “স্থান নির্বাচনের ক্ষেত্রে মানুষের মৌলিক চাহিদা ও কর্মসংস্থানের বিষয়কে অগ্রধিকার দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর দীর্ঘদিনের দুঃখ-কষ্ট লাঘব হবে”।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাজী মাসুদুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না” প্রধানমন্ত্রী এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের নিদের্শনা বাস্তবায়নে দিন-রাত্রি কাজ চালিয়ে যাচ্ছি”।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button