খাগড়াছড়িতে ইটভাটা স্থাপনে আগ্রহী সকলের জন্য ইটভাটা স্থাপন উন্মুক্ত করার দাবী জোরালো হচ্ছে (ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের ২য় পর্ব )

সবুজ পাতা ডেস্ক : খাগড়াছড়িতে অবৈধ ইটভাটার ছড়াছড়ি। লাইসেন্স নেই, অনুমোদনও নেই। ইটভাটায় ১৫/২০ উচ্চতার ড্রামসীটের বাংলা চিমনী ব্যবহারে ধ্বংসের মুখে পড়ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র। লক্ষ লক্ষ টন বনের কাঠ পুড়ছে ইটভাটার মালিকরা। ইট তৈরিতে বাংলাদেশের কোথায়ও এত সুবিধা নেই।
এখানে সস্তায় জ্বালানী কাঠ পাওয়া যায়। জিকজাক চিমনীর প্রয়োজন নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড় পত্রের প্রয়োজনও নেই। যেখানে যেভাবেই মন চায় সেভাবেই ইট ভাটা স্থাাপন করা যায়। খাগড়াছড়ির সাবেক পৌর কমিশনার আলহাজ¦ এটিএম রাশেদ উদ্দিনের রয়েছে একাধিক অবৈধ ইটভাটা।
খাগড়াছড়িতে ইটভাটা স্থাপনে ইটভাটার মালিক পক্ষ যেহেতু কোন বিধি নিষেধ মানছে না সেহেতু ইটভাটা স্থাাপনে আগ্রহী সকলের জন্য ইটভাটা স্থাাপন উন্মুক্ত করার দাবী জোরালো হচ্ছে। ‘তেল মাথায় ঢালো তেল, ন্যাড়া মাথায় ভাঙ্গ বেল’ এই নীতি খাগড়াছড়িতে প্রযোজ্য হচ্ছে। এতে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কয়েকটি অবৈধ ইটভাটা ইউপিডিএফ বন্ধ করে দেওয়ায় অনেকেই এখন সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফের প্রসংশা করছে। সমাজ সেবক মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ভাবতেও অবাক লাগে অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে কোন মিডিয়া কর্মীও সত্য তুলে ধরছে না। আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ইটভাটা গুলিকে নুন্যতম নিয়মের মধ্যে আনয়ন করবেন। প্রতিটা ইটভাটা লক্ষ লক্ষ টন বনের কাঠ পুড়ছে। উক্ত কাঠ দেশের সম্পদ জনগনের সম্পদ। প্রশাসন প্রতিটা ইটভাটা থেকে কাঠ পোড়ানোর জন্য ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারে। ড্রামসীটের ১৫/২০ফুট উচ্চতার চিমনীর পরিবর্তে জিকজাক চিমনী নির্মাণে বাধ্য করতে পারে’। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রে আলিম উল্লাহ বলেন, ‘আমি এখানে নতুন । খোঁজ খবর নিয়ে বিস্তারিত জানাবো। ৩৩বা ৩৪টি ইটভাটা থাকতে পারে। তার মধ্যে মনে হয়ে ৮-১০টার অনুমোদন আছে। ড্রামসীটের বাংলা চিমনী দেশের সব জায়গায় নিষিদ্ধ। আর পার্বত্য অঞ্চলে তো ইটভাটার বিষয়ে কঠোর বিধি নিষেধ রয়েছে’। (চলমান…)