খাগড়াছড়িতে ইটভাটা স্থাপনে কোন বিধি নিষেধ বা অনুমোদনের প্রয়োজন নেই ! নামে বে-নামে ও শেয়ারে অর্ধডজন অবৈধ ইটভাটার মালিক আলহাজ¦ এটিএম রাশেদ উদ্দিন (এক)

সবুজ পাতা ডেস্ক : খাগড়াছড়িতে অবৈধ ইটভাটার ছড়াছড়ি। কোন লাইসেন্স নেই, অনুমোদনও নেই। ইটভাটায় ১৫/২০ উ”চতার ড্রামসীটের বাংলা চিমনী ব্যবহার করা হচ্ছে যা পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। জ¦ালানী হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বনের অপরিপক্ষ অবৈধ কাঠ। ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র ধ্বংসের মুখে পড়ছে। জেলায় বন রক্ষক এখন বন বক্ষকের ভুমিকায় অবতীর্ণ। ইটভাটার মালিকদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে অন্ধের মতো অভিনয় করছে বন বিভাগ। অপরদিকে সাধারন একজন কাঠুরিয়াকে ধরে জেলে পুড়ছে অথচ লক্ষ লক্ষ টন বনের কাঠ পুড়ছে ইটভাটা সিন্ডিকেট সেদিকে বন বিভাগের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ইট তৈরিতে বাংলাদেশের কোথায়ও এত সুবিধা নেই যা খাগড়াছড়িতে রয়েছে। এখানে ইটভাটা মালিকদের নিকট থেকে সরকার কোন অর্থ পাচ্ছে না যেহেতু অনুমোদন নেই, লাইসেন্সও নেই। জ¦ালানী হিসেবে কাঠ ব্যবহারে জন্য বন বিভাগও কোন অর্থ পায় না। এখানে সস্তায় পাহাড়ের মাটি পাওয়া যায়। কয়লা কিনতে হয় না। সস্তায় জ¦ালানী কাঠ পাওয়া যায়। জিকজাক চিমনীর প্রয়োজন নেই। ১৫ থেকে ২০ফুট উ”চতার ড্রামসীটের তৈরি বাংলা চিমনী ব্যবহার করলেই হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড় পত্রের প্রয়োজনও নেই। লোকালয়ে বা বাজারের নিকট অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিকট হলেও অসুবিধা নেই। যেভাবে মন চায় সেভাবেই ইট ভাটা স্থাাপন করা যায়। এক কথায় ইটভাটা সিন্ডিকেট চক্রের হাত নাকি অনেক লম্বা। জনশ্রুতিতে আছে, ‘খাগড়াছড়ি ইটভাটা সিন্ডিকেট চক্র নাকি খাগড়াছড়িতে দিনকে রাতে পরিনত করতে পারে’।
এ সব অবৈধ ব্রীকফিল্ডের মালিকরা এতোটাই ক্ষমতাধর যে, অবৈধ কার্যক্রম দেখেও তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন তেমন কোন আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারে না। দিন দিন বেপরোয়া এ সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম এতোটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এখানে প্রাণীকুল বেঁচে থাকার মতো পরিবেশ থাকবেনা।
নামে বে-নামে ও শেয়ারে অর্ধডজন অবৈধ ইটভাটার মালিক খাগড়াছড়ি পৌরসভার সাবেক কমিশনার আলহাজ¦ এটিএম রাশেদ উদ্দিন। অন্যান্য স্থানের পাশা-পাশি বে-নামে খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলাধীন মাইসছড়ি বাজার সংলগ্ন একটি অবৈধ ইট ভাটা পরিচালনা করছেন তিনি। যেখানে ইটভাটার কোন নাম ফলক বা সাইন বোড নেই। ১৫/২০ ফুট উ”চতার ড্রাম সীটের তৈরি বাংলা চিমনী ব্যবহার করা হচ্ছে যা পরিবেশের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। (চলমান……….)