খাগড়াছড়িতে আবারো পিটিয়ে হত্যা- ১৪৪ধারা জারি


admin প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১, ২০২৪, ৭:৩৮ অপরাহ্ন /
খাগড়াছড়িতে আবারো পিটিয়ে হত্যা- ১৪৪ধারা জারি

প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে আবারও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর (বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স) ও বিভাগীয় প্রধান আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা’কে(৪৮) পিটিয়ে হত্যা করে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। খাগড়াছড়ি সদর মোহাম্মদপুর এলাকার আশ্রাফ হোসেনের ছেলে মো: রবিউল হোসেনকে পিটিয়ে আহত করা হয়।

জেলাতে আবারও ১৪৪ধারা জারি করলো প্রশাসন। শিক্ষক পিটিয়ে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারো অশান্ত হলো পাহাড়। পরিস্থিতি শান্ত রাখাতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
খাগড়াছড়ির সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের উত্তেজিত পাহাড়ি ছাত্রদের বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের ইন্সট্রাক্টর(বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স) ও বিভাগীয় প্রধান আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক(আরএমও) রিপল বাপ্পী চাকমা।
১লা অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পাহাড়ি-বাঙালি উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রথমত: সদর উপজেলা এবং দ্বিতীয়ত চেংগী স্কয়ারে সংঘর্ষে রুপ নিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ, আর্মড পুলিশ, সেনা বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপস্থিত হয়ে ১৪৪ধারা জারি করে। এ ঘটনায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশংখায় দুপুর তিনটা থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শহরে এখনো উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীরা। বেশ কয়েক বছর আগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছিল। ওই ছাত্রী আদালতে এসে সাক্ষ্য দেয় তিনি কোন ধর্ষণের শিকার হননি। পাহাড়ি একটি সংগঠনের চাপে মামলা করেছে মর্মে সাক্ষ্য দিলে সোহেল রানা খালাস পান এবং চাকরিতে যোগদান করেন। সোহেল রানা চাকরিতে যোগদানের পর থেকে পাহাড়ি ছাত্ররা তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির নানা অভিযোগ এনে তাকে প্রত্যাহারের দাবি করে আসছিল। ১ অক্টোবর ওই শিক্ষক বিদ্যালয় এলে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের এক ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ এনে শিক্ষককে হত্যা করা হয়।

এদিকে শিক্ষককে হত্যার প্রতিবাদে পাহাড়ি ও বাঙালি ছাত্রদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর হয়েছে খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন কক্ষ ও আসবাবপত্র। আহত হয়েছেন ১৫-২০জন। নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।