খাগড়াছড়িতে পোলিও আক্রান্ত স্বপন ত্রিপুরার পাশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি জেলায় সদর পেরাছড়া ইউপির বেলতলীর বাসিন্দা স্বপন ত্রিপুরা। দূর্গম এলাকায় বেড়ে ওঠার কারনে ছোট বেলা থেকে পোলিও টিকা থেকে শুরু করে ভিটামিন কোন কিছুই পাননি তিনি। তাই ২৬ বছর বয়স হওয়ার পর তার শরীরে এর প্রভাব পরতে শুরু করে।
.
হাত পা চিকন হতে শুরু করে । এমন সময় পাশে দাড়ান রাঙ্গামাটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন উন্মেষ আর রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। তারা দীর্ঘ ৫ বছর ব্যয়বহুল এই
চিকিৎসার খরচ চালাতে চালাতে ক্লান্ত হয়েছেন । তাই স্বপন ত্রিপুরা নিজেই নিজের চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি শহরে আনাচে কানাচে টাকা উত্তোলন করে চিকিৎসার সর্বশেষ ডোজ ৫ টা থেকে ৪ টা সংগ্রহ করতে পেরেছেন।
খাগড়াছড়ি জেলার তরুন ছাত্রনেতা নুরুসাফা চৌধুরীর সহযোগিতা নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের নেতা তেপান্তর চাকমার সহযোগীতা কামনা করেন স্বপন ত্রিপুরা। ফলে তেপান্তর চাকমা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ২৪ হাজার টাকার দামের সর্ব শেষ ডোজটি সংগ্রহ করার উদ্দেশ্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বাপ্পি চৌধুরী,অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন,ছাত্রলীগ নেতা দিপন চাকমা ও সুমন ত্রিপুরা তহবিল গঠন করতে সবার সহযোগিতা কামনা করে মাঠে নামেন। বাপ্পি চৌধুরী জানান, ২৪ হাজার টাকার জন্য একজন মানুষের ৫ বছরের লক্ষ লক্ষ টাকার খরচ করে চিকিৎসার ব্যয়টা কেন বৃথা যাবে ? তাই আমরা মানবিক বিবেচনায় তার পাশে দাড়ানোর চিন্তা করেছি। যাহারা ছাত্রলীগের আহ্ববানে সাড়া দিয়ে মানবিকতার পাশে থেকেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি এবং ভবিষ্যতেও অসহায় মানুষদের পাশে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। স্বপন ত্রিপুরা দৈনিক সবুজ পাতার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, ছাত্রলীগের অর্থায়নে আমি সর্বশেষ ডোজটি দিয়ে বাড়িতে ফিরেছি । কিন্তু ডাক্তার আরেকটা ডোজ মেরুদন্ডে পোজ করার কথা বলেছেন যার দাম ২৫ হাজার টাকা।”
. এ বিষয়ে ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন বলেন, এ ডোজটিও ছাত্রলীগের তরফ থেকে সংগ্রহ করে দেওয়া হবে।