সাধারণ

কৃত্তিকা ত্রিপুরার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশা-পাশি মিডিয়ায় অপপ্রচারকারীদের শাস্তিও বাঞ্চনীয় (এক)

সবুজ পাতা ডেস্ক : খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলার নয়মাইল নামক এলাকার বাসিন্দা ৯বছরের বালিকা কৃত্তিকা ত্রিপুরা ওরফে পুণাতি ত্রিপুরাকে ২৮ জুলাই বীভৎস ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই অবর্ণনীয় নৃশংসতার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছিল। আমাদের ঐতিহ্য ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সবাই এই ঘটনার নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছি। সেই প্রতিবাদের লক্ষ্য কোন দল বা গোত্র ছিল না। বরং অন্যায়ের আর নৃশংসতার প্রতিবাদ করে অপরাধীর শাস্তি দাবী করা হয়েছিল।
পাহাড়িরা প্রথমে ঢালাও ভাবে বাঙ্গালীদের দায়ী করে বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও দেশ বিদেশে প্রচার প্রপাগান্ডা চালাতে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ চার বাঙ্গালী সদস্যকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরন করে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ কোন কোল কিনারা পায়নি।
অতপর হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ রবেন্দ্র ত্রিপুরা ওরফে শান্ত নামের একজনকে ১ সেপ্টেম্বরে আটক করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসে।

পুলিশের পক্ষে এ কাজটি সহজ ছিলো না। কারণ, এই ঘটনার পর স্থাানীয়ভাবে পাহাড়ীরা বাঙালিদের নাম উল্লেখ করে বিচার দাবী জানিয়েছিল।
“কৃত্তিকা ত্রিপুরা হত্যার আগে নয়মাইল এলাকার মৃত নরোত্তম ত্রিপুরার ঘরে বসেই চাঁদা উত্তোলন করতো শান্ত। কৃত্তিকা ত্রিপুরার মা অনুমতি ত্রিপুরা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার কারনেই ক্ষুব্ধ হয়ে কৃত্তিকা ত্রিপুরাকে হত্যা করে এবং ঘটনা ঘটানোর পর কাউকে না জানানোর জন্যে হুমকিও দেয় শান্ত।“
সূত্রে জানা যায় ২৮ জুলাই দুপুর ২:৩০ মিনিটে টিপিন পিরিয়ডে স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার পর ৩:০০টার দিকে হত্যার স্বীকার হয় কৃত্তিকা ত্রিপুরা। কিন্তু খাগড়ছড়িতে একটি সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা যায় ওইদিন দুপুর ২:৩৮ মিনিটে আটক তিন বাঙ্গালী যুবক জেলা সদর থেকে মোটরবাইক যোগে দীঘিনালার উদ্দেশ্য রওয়ানা দিয়েছেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে ধর্ষণ এবং হত্যা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। ৃ.গত ২০ আগস্ট পাওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কোন প্রকার আলামত পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাদে শান্ত আরো জানায় তার তিনজন সহযোগী ছিলো।
সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনজন বাঙ্গালীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করে তাদেরকে এই ঘটনায় জড়িত দাবী করে কিছু পোস্ট দেয়া হয় কুচক্রি মহল থেকে।
চিরাচরিত চর্চা অনুযায়ী এই পোস্টে বিভিন্ন ধরণের কমেন্ট/রিএকশন চলতে থাকে। পুলিশ সন্দেহভাজন ঐ তিনজনকে গ্রেফতার করতে দেরি করেনি। পরে জানা যায় বাঙ্গালীরা ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
ঘটনার অব্যবহিত পরেই কিছু মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবি উ”চকণ্ঠে দোষী বাঙালীদের ফাঁসি দাবী করেছিলেন। দেশ বিদেশে বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার প্রপাগান্ডা চালিয়ে পার্বত্যাঞ্চলকে অস্থিাতিশীল করতে চেয়েছিল। কথিত বুদ্ধিজীবিরা এখন নীরব। (চলমান………….)

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button