সাধারণ

করোনার সংক্রমণ বিবেচনায় রেড জোন খাগড়াছড়ি

 মোঃ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া আসাদ  : করোনার সংক্রমণ বিবেচনায় রাঙ্গামাটির পর এবার রেড জোন পাহাড়ী জেলা খাগড়াছড়ি। প্রতিদিন বাড়ছে করোনার লক্ষণ নিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনার সংখ্যা। সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘন্টায় (বুধবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত) খাগড়াছড়ি জেলায় ৬২ টি নমুনায় ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত দাড়িঁয়েছে ৩ হাজার ৩৭ জন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি মাসের মাঝামাঝি পর্যায়ে খাগড়াছড়িতে সংক্রমণের হার ছিলো এক শতাংশের নিচে। চলতি মাসের ১০ তারিখের পর সেটি বাড়তে শুরু করেছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতাল ৫০ বেডের আইসোলেশন কর্ণার ও সেন্ট্রাল অক্সিজনের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ৭ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪৭ বেডের আইসোলেশন ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবস্থা রয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা জানান, মৌসুমি ফ্লুর লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একই সাথে বাড়ছে করোনার নমুনা সংগ্রহ। ৫০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড ২ জন রোগী চিকিৎসাধীন। আক্রান্তদের জটিল কোনো লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত সিভিল সার্জন ডা. মিটুন চাকমা জানান, গত ২৪ ঘটায় ৬২ জনের নমুনায় ২৩ জনের পজেটিভ এসেছে। হঠাৎ করে চলতি সপ্তাহে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। আক্রান্তদের মধ্য কারো অমিক্রন শনাক্ত হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি। চলতি সপ্তাহে সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী। এখন পর্যন্ত ১৫ শতাংশের উপর সংক্রমণের হার রয়েছে । প্রতিদিন সেটি বাড়ছে। অন্যদিকে, খাগড়াছড়ির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজী মোঃ আলিম উল্লাহ জানান, ১১ দফার বিধি নিষেধ পালনে মাঠ পর্যায়ে তৎপর রয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রটরা। প্রতিদিন বিনোদন কেন্দ্র, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও স্থানীয় হাট বাজারে স্বাস্থ্য বিধি পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। মাস্ক পরা সহ সামাজিক দূরত্ব মানাতে সর্তক করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ১৩ ও ১৪ জানুয়ারী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যর গোমতি জেলায় অনুষ্ঠিত পৌষ সংক্রান্তি মেলাকে ঘিরে সীমান্ত অঘোষিত ভাবে খুলে দেয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে হাজারও দর্শণার্থী খাগড়াছড়ির পানছড়ির দুদুকছড়া সীমান্ত দিয়ে মেলায় আসা যাওয়া করেন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য অমিক্রনের সংক্রমণ উর্ধমুখী হলেও মেলা থেকে ঘুরে আসেন পাহাড়ের দর্শনার্থীরা কোনো প্রকার নজরদারিতে আনতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button