সাধারণ

এস কে সিনহা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন !

নিউজ ডেস্ক : সম্প্রতি আত্মজীবনীমূলক একটি বই প্রকাশ করে নানা রকম সমালোচনা ও গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছেন একাধিক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। বিধি লঙ্ঘন করে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরণের আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ করেছেন এস কে সিনহা। তিনি তার বইয়ে বাংলাদেশ বিচার বিভাগ নিয়ে বিভিন্ন ধরণের আপত্তিকর তথ্য প্রকাশ করে আমাদের বিচার বিভাগকে বিব্রত করার চেষ্টা করেছেন, যা কোনো ভাবেই একজন সাবেক বিচারপতির কাছে কাম্য নয়। স্বাভাবিক ভাবেই বইটি প্রকাশের পর থেকেই এস কে সিনহার মানসিক সুস্থাতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন সচেতন মহল থেকে। অনেকেই মনে করছেন দুর্নীতির তদন্তের সাথে তার মানসিক ভারসাম্যহীনতার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা উচিত।

এর আগেও এস কে সিনহার বিভিন্ন আচার আচরণ থেকেও তার মানসিক ভারসাম্যহীনতার প্রমাণ মিলেছে। তিনি নানা সময় স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। একই মুখে দু’রকম কথা বলেছেন। যেমন ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে তিনি এক জায়গায় বলেছেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। আবার তিনিই বলছেন, সরকারের চাপে তিনি বিব্রত। একদিকে তিনি বলছেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকা উচিত, অন্যদিকে তিনিই আবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কী কী করা উচিত আর কী কী করা উচিত না সেটা মনে করিয়ে দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় তিনিই হস্তক্ষেপ করছেন। ষোড়শ সংশোধনীতে যে ব্যক্তি বলেছেন, দেশের সংসদ অপরিপক্ব, জনপ্রতিষ্ঠান অকার্যকর; আবার তিনি বলছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী। একবার তিনি বলছেন, চাপে ভয় পান না। আবার বলছেন, চাপে বিব্রত হয়ে তিনি বিদেশ চলে যাচ্ছেন। ফলে ছুটির আবেদনে প্রধান বিচারপতি ছুটির কথা উল্লেখ করলেও, দেশত্যাগের আগে বলেছেন তিনি সুস্থা আছেন। বিচার বিভাগের ভেতরে পাঁচজন বিচারপতি সাবেক এই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসতে চান নি। তাদের ভেতরে নানা রকম দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছিলো, যার মূলে ছিল বিভিন্ন সময় তাদের প্রতি সিনহার উদ্ভট আচরণ। সবকিছুই সৃষ্টি হয়েছে উনাকে কেন্দ্র করে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ রয়েছে, সেটা এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

প্রসঙ্গত অনুসন্ধানে এস কে সিনহার মানসিক ভারসাম্যহীনতার প্রমাণও মিলেছে। সাইকিয়াট্রিক ডিসঅর্ডার এর জন্য তিনি ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ থেকে ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সাইক্রিয়াটিস্ট ডঃ গুড়ি অলকানন্দার নিকট শরণাপন্ন ছিলেন।

ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে তবে কি এস কে সিনহার মানসিক ভারসাম্যহীনতা থেকেই আত্মজীবনীর আড়ালে বিতর্কিত একটি বই প্রকাশ করেছেন !

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button