সাধারণ

একটি মানবিক আবেদন

আরিফ হোসেন জন্মের পর থেকে বিছানায় । বয়স দশ। ঠিকমতো পায়খানা করতে পারেনা সে। পেট বেলুনের মতো ফুলে রয়েছে। পিতা-মৃত এমদাদুল হক । মা পারভীন আক্তার, বড় দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। আরিফের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সহায় সম্বল ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় ২০১৫ সালে ছেলের ছটফটানি আর  আর্তচিৎকার সহ্য করতে না পেরে  স্ট্রোক করে  মারা যান বিডিপি সদস্য এমদাদুল। সর্বশেষ ডাক্তার বলেছেন আরিফ হোসেনকে অপারেশন করাতে পারলে সুস্থ হতে পারে । তবে এর জন্য সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ টাকা খরচ হবে । কিন্তু পিতৃ হীন আরিফের ভিটেমাটি হীন বিধবা মায়ের অশ্রু ঝরানো আর ছেলের মৃত্যুর প্রহর গণনা করা ছাড়া কিছু করার নাই। আরিফের মায়ের আর্তনাদ, যে বছর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের ক্ষণ গণনা হয়েছে সেই বছর আমার সন্তানের মৃত্যু গণনাও চলছে। যে কোন সময় মাতৃস্নেহ ত্যাগ করে পরপারে চলে যেতে পারে আমার বুকের ধন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, তিন চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমার কলিজার টুকরাকে বাঁচিয়ে রাখা যায় না ? তাছাড়া ষোল কোটি মানুষের বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় এক টাকা করে দেওয়ার মতো ৩-৪ লক্ষ লোক কি পাওয়া যাবে না ?

আরিফ হোসেন কোনদিন কিছুটা হালকা হয়ে দাঁড়াতে পারলে পাশের মসজিদে আযান দিত। কিন্তু বিগত পাঁচ ছয় মাস যাবত আরিফের কন্ঠে আযান শোনা যায় না। ভোরে আযানের পরিবর্তে আরিফের আত্মচিৎকারে ঘুম ভাঙে আশে পাশের লোকজনের ।

বাঁচার জন্য সমাজের স্বহৃদয়বান ব্যক্তির কাছে সাহায্য চায় আরিফ। সাহায্যের জন্য যোগাযোগের নাম্বার :-
মা পারভিন আক্তার ,01878243772 (বিকাশ নাম্বার)।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button