উত্তরবঙ্গের কৃষি উন্নয়নে লাগানো হবে ৫ লাখ ফলদ বৃক্ষ

প্রতিনিধি : উত্তরবঙ্গে দরিদ্র পরিবারের আয় বাড়াতে পাঁচ লাখ ফলদ বৃক্ষ রোপণ ও কৃষি উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
রংপুর,কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার ৩৮ উপজেলায় ফলদ বৃক্ষ রোপণে বিপ্লব ঘটাবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই)।
এসব অঞ্চলের হাটবাজার, রাস্তাঘাট, সেতু নির্মাণ, সেচ নালাও উন্নয়ন করা হবে। আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে আম, আমলকি, আনারস লেবু, কদবেল, নারিকেল, জামির, কাঁঠাল, লিচু, আঁশফল, কলা, আতা, কাকজাম, বাদাম, কামরাঙা, কুল, খেজুর, খুদিজাম, গাব, জামরুল, জলপাই, চেরি, চালতা, বরই, তাল, তেঁতুল, ডুমুর, আমড়া, পেয়ারা, পেঁপে, বেল ও সফেদা চাষ করা হবে। বীজ থেকে শুরু করে সব ধরণের কৃষি উপকরণ বিতরণ করবে সরকার।
‘রংপুর বিভাগ কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় প্রয়োজন অনুযায়ী তিন হাজার ব্যাচ কৃষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রকল্প এলাকায় ১৫ হাজার মাঠ প্রদর্শনীর ব্যবস্থাা করা হবে। এছাড়া ৫০০ হ্যান্ড স্প্রেয়ার, ৫০০ পাওয়ার স্প্রেয়ার ও ৫০০ ফুট পাম্প বিতরণ করবে সরকার।
দুই হাজার ১২০টি পাওয়ার থ্রেসার, ৪০০টি ট্রান্সপ্লান্টার ও ৫০০টি রিপার দেবে সরকার। দেয়া হবে নানা সরকারি সুযোগ-সুবিধা।
ডিএই সূত্র জানায়, ৩২১ কোটি টাকা ব্যয়ে রংপুর বিভাগের আট জেলার ৩৮ উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। দারিদ্র্য বিমোচনে ফলদ বৃক্ষের পাশাপাশি ধান, গম ও ভুট্টা চাষে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
উন্নত কৃষি বীজের অভাব, মাটির উর্বরতা রক্ষার অভাব এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি না থাকায় উত্তরবঙ্গ কৃষিতে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে বলে জানায় ডিএই।
উত্তরবঙ্গের কৃষি উন্নয়নে নেয়া এ প্রকল্পের আওতায় ৫০টি সেচ সাব প্রকল্প, ১৫ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ২০ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক, ১১৫ কিলোমিটার গ্রাম সড়কে ১০টি ব্রিজ-কালভার্ট, ৩০টি কৃষি মার্কেট, ১২টি কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। ডিএই ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক ড. মো. আব্দুল মুঈদ বাংলানিউজকে বলেন, উত্তরবঙ্গে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্যই ‘রংপুর বিভাগে কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। এখনও প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। আশা করছি, দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারবো। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ফলদ বৃক্ষ ও কৃষি উন্নয়নে অভাবনীয় সাফল্য আসবে উত্তরবঙ্গে।