সাধারণ

উখিয়ায় প্রধান সড়কের দুইপাশে অপরিকল্পিত দোকানপাটে জনভোগান্তি!

শ.ম.গফুর,উখিয়া,কক্সবাজারঃ

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়া-টেকনাফ সড়কের দুইপাশের বাঁকে বাঁকে শ-শ অপরিকল্পিত দোকানপাট গড়ে উঠা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে সড়কের প্রশস্ত সংকুচিত হয়ে পড়েছে।পাশাপাশি যানজট লেগেই থাকে।ফলে দুর্ঘটনাও ক্রমশঃ বাড়ছে। সড়কের দুইপাশে সরকারী খাস ও বনবিভাগের জায়গায় এসব অপরিকল্পিত দোকানপাট গড়ে যেমনি জনভোগান্তি বেড়েছে,আবার এসব দোকানে মাদকদ্রব্য বেচাকেনার অভিযোগও রয়েছে। ইতিপূর্বে সড়ক ও জনপদ বিভাগ পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে।কিন্তু উচ্ছেদের পর কয়েক দিনের ব্যবধানে আবার দোকানপাট বসে যায়। বালুখালী এলাকার সাবেক মেম্বার সেলিম জাহাঙ্গীর ও মৌলভী গফুর উল্লাহ জানান, সড়কের উভয়পাশে এভাবে দোকানপাট বসায় কক্সবাজার টেকনাফ সড়কে প্রায়ই যানজট লেগে যায়।

আবার কোন-কোন জনলোকাররণ্য স্থানে অপরিকল্পিত দালান গৃহে প্রধান সড়কের সাথে সংযোগ সিঁড়ি বসিয়ে দুর্ঘটনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। উখিয়া সদরের ১ কিলোমিটার মহুরীপাড়া থেকে টিএন্ডটি,কুতুপালং,বালুখালী,থাইংখালী ও বালুখালী পর্যন্ত শ-শ অবৈধ দোকান বসানো হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা এসব দোকানের ছবি ধারণ করতে গেলে  কুতুপালং বাজারে অন্তত ১০/১৫ জন রোহিঙ্গা তেড়ে আসে। তাদের দাবি ছবি তুলে পত্রিকায় প্রকাশিত হলে প্রশাসন তাদের দোকানগুলো উচ্ছেদ করবে; তাই এসব দোকানের ছবি তুলতে দেওয়া হবে না। অবশ্যই পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছবি ধারণ করা হয়।স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, অধিকাংশ দোকানের মালিক রোহিঙ্গা নাগরিক। কুতুপালং বাজারে প্রধান সড়কের উপর রোহিঙ্গারা ভাসমান দোকান বসিয়েছে। কাচা বাজারের প্রায়ই ব্যবসায়ী রোহিঙ্গা। স্থানীয়দের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন,উখিয়া হয়ে পালংখালী পর্যন্ত বনবিভাগ সংলগ্ন সড়ক দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানে রাতের বেলায় মাদক বেচাকেনাও হয়।

উখিয়ার বনরেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মো.শফিউল আলম জানান, অল্পসংখ্যক লোকবল নিয়ে বিশাল জনগোষ্ঠীর দখলদারিত্ব ঠেকানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।তথাপিও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযানের জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃ‌র্পক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে শিগ্গিরই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃসরওয়ার আলম বলেন,উখিয়ায় সড়কের পাশে বন বিভাগের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা স্থাপনা সরেজমিনে গিয়ে উচ্ছেদের জন্য সহকারী বনসংরক্ষক উখিয়াকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা জানান, ইতিমধ্যে সড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট চিহ্নিত করা হয়েছে। সড়ক সম্প্রসারণ ও যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে।

তবে স্থানীয়রা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়া হয়ে পালংখালী পর্যন্ত প্রধান সড়ক লাগোয়া যেসব অপরিকল্পিত দোকানপাট গড়ে উঠেছে,তা দ্রুত সময়ে স্থায়ী উচ্ছেদ অভিযান চান।অন্যথায় দখলদস্যুদের এসব দোকানপাটের কারণে প্রধান সড়কের প্রশস্ত সংকুচিত হয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি ও জনচলাচলের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।

Back to top button