আদালতের নির্দেশে গর্জনিয়া বাজারে অবৈধ দোকান ঘর উচ্ছেদ

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি : নাইক্ষ্যংছড়ির পাশ্ববর্তী রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজারের প্রধান সড়কের উত্তর পাশে অবৈধভাবে নির্মাণ করা টিনশেডের ছোট্ট একটি চায়ের দোকান ও অপর একটি সেলুনের দোকানের আংশিক জায়গা আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বুধবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় কক্সবাজারের রামু আদালতের সহকারী জজ মোঃ মাজেদ হোসেনের নির্দেশে কক্সবাজারের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ’র নেতৃত্বে অবৈধ ভাবে দোকান ঘর দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়। এসময় দোকান ঘর জবরদখলকারী রোপন দাশ এর ছোট্ট একটি চায়ের দোকান ও সুনিল শর্মার সেলুনের দোকানের আংশিক জায়গা উদ্ধার করে লাল পতাকা দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। এর আগে তাদের ডেকে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ম্যাজিস্ট্রেট ১৫ মিনিট সময় দেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালামাল না সরানো হলে প্রশাসনের মাধ্যমে তা সরানো হয়। জানা গেছে মোহাম্মদ জামান উক্ত জমি জবরদখল কারিদের হাত থেকে উদ্ধার করতে আদালতে দীর্ঘদিন মামলা চালিয়ে আসছিল। ওই মামলায় তিনি রায় পেয়ে ফের আদালতে উচ্ছেদ মামলা দায়ের করেন। সে অনুযায়ী বুধবার বেলা ১২ টায় আদালতের নির্দেশক্রমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ বিল্লাহ’র নেতৃত্বে ও রামু থানা পুলিশের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ার জমির পরিমাপ করে জমির প্রকৃত মালিককে লাল পতাকা দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে দখল বুঝিয়ে দেন। এবিষয়ে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তিনি আদালতের আদেশ অনুযায়ী অবৈধভাবে দখলে থাকা দোকানদারকে উচ্ছেদ করে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছেন। দীর্ঘদিন দখলে থাকা রুপন দাশ, সুনিল শর্মা সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসন আমাদের কোন নোটিশ না দিয়ে এভাবে আমাদের দোকান ভাংচুর করতে পারেননা। আমাদের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল মহোদয় এ দোকানের বিচার করেছিল।
গর্জনিয়া বাজার কালি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক লভা কর্মকার সাংবাদিকদের বলেন, সুনীল শর্মার সেলুন এর দোকানের জমির মালিক গর্জনিয়া বাজার কালি মন্দির। তিনি মন্দিরে নিয়মিত ভাড়া দিয়ে আসছেন। আমরা এর প্রতিকার চাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাসুদ রানা, এসআই মোজাম্মেল হক, এসআই শরিফুল ইসলাম,
এ এসআই নুরুন্নবী টিপুসহ রামু থানা ও গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যসহ রামু জর্জ আদালতের নাজির ও সার্ভেয়ার গণ।