
ফরিদুল আলম রনি : কোন মতেই যেন বন্ধ করা যাচ্ছে না কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার অবৈধ করাতকলগুলো। করাতকলগুলোর করাল গ্রাসে উজার হয়ে যাচ্ছে বনাঞ্চল। আর এতে ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। একই সাথে সরকারের রাজস্ব থেকে খোয়া যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। মাঝে মধ্যে প্রশাসন লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও তা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তবে প্রশাসন বলছে, অবৈধ করাতকল রোধে তৎপর রয়েছেন তারা। এদিকে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং,মিঠাছড়ি,কাউয়াখোপ,রশিদনগর,জোয়ারিয়া নালা সবচেয়ে বেশি অবৈধ করাত কল। এ অবৈধ করাত কলগুলোই বনের গাছগুলোকে গিলে খাচ্ছে বলে অভিমত স্থানীয়দের। সচেতনমহলের অভিমত, প্রশাসন যদি কঠোর হয়, তা হলে বনের গাছ চুরি করা দুরের কথা করাতকলগুলোতে আসার সুযোগই থাকত না। গাছ চুরি থেকে শুরু করে কল পর্যন্ত পৌছানোর প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষা ভাবে মদদ রয়েছে বন কর্তৃপক্ষের অসাধু কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীর।
কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বনবিভাগের ধোয়াপালং রেঞ্জ, বাঁকখালী রেঞ্জ, রাজারকুল রেঞ্জ, মেহেরঘোনা রেঞ্জ সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বনের একেবারে পার্শ্ববর্তী এলাকায় গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ করাতকল। যে কলগুলোতে দিন-দুপুরে কিংবা রাতের আধারে বন থেকে গাছ চুরি করে নিয়ে আসার পর প্রকাশ্যে চিড়াই করছে । অভিযোগ রয়েছে, বন থেকে চুরির গাছগুলো অল্প সময়ের মধ্যে সাবাড় করতেই স্থাপন করা হয়েছে এসব করাতকল।মূলত এসব করাত কলের কারণেই উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল, ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতিক ভাবে গড়ে উঠা বনের অধিকাংশ গাছগাছালি।